উক্ত জিলালুল কোরআন সোসাইটি নৈতিক ও জাগতিক শিক্ষার সমন্বয়ে 'আল-ফালাহ একাডেমী' নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। যে প্রতিষ্ঠানটি বিয়ানীবাজারের নিউ মার্কেটস্থ একটি পাকা ভবনের দু'তলায় ১৯৮৮ সালের জানুয়ারির তিন (০৩) তারিখে তার যাত্রা শুরু করে। শিশু শ্রেণি, প্রথম শ্রেণি ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মোট ৩৭ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ১৯৯০ সালে উক্ত প্রতিষ্ঠানটি হাজী মোঃ আব্দুল খালিক মহুরী সাহেবের সুপাতলাস্থ বাড়ির একাংশে স্থানান্তরিত হয়। সেখানে আধা-পাকা টিনের একটি ঘরে শিক্ষা কার্যক্রম অত্যন্ত সুনামের সাথে পরিচালিত হয়। ১৯৮৯ সালে তৃতীয় শ্রেণি, ১৯৯০ সালে চতুর্থ শ্রেণি, ১৯৯১ সালে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নিত হয়। ১৯৯২ সালে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে প্রতিষ্ঠানটি উন্নিত হওয়ার কথা থাকলেও নিজস্ব ভূমিতে স্থানান্তরিত না হওয়ার কারণে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকতে হয়। ১৯৯২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত এভাবেই পরিচালিত হয়। নিম্নে এক নজরে বিয়ানীবাজার জামেয়া ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অগ্রগতি উল্লেখ করা হলো :
প্রতিষ্ঠা: ০৩ রা জানুয়ারি ১৯৮৮ইং
শ্রেণি কার্যক্রম শুরু: ১৭ই জানুয়ারি ১৯৮৮ইং
প্রথম বছর ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা: ৩৭ জন।
স্থানান্তর: নিউ মার্কেট থেকে ০১ লা জানুয়ারি ১৯৯০ইং সালে হাজি মোঃ আব্দুল খালিক সুপাতলাস্থ বাড়ীর একাংশে স্থানান্তর।
নতুন নামকরণ: "বিয়ানীবাজার জামেয়া ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়"০১লা জানুয়ারি ২০০৩ ইং।
দু'টি প্রতিষ্ঠান একিভূত করণঃ
১৯৮৮ ঈসায়ী সালে এ প্রতিষ্ঠানটি আল-ফালাহ একাডেমী নামে কার্যক্রম শুরু করে,২০০২ সাল পর্যন্ত ঐ নামে অস্থায়ী স্থানে (নিউ মার্কেট ও হাজী আব্দুল খালিক সাহেবের বাড়ীর একাংশে) শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাদান কার্যক্রম চলতে থাকে। উল্লেখ্য যে অনুরূপ ভাবে ১৯৯১ সালে "শাহজালাল একাডেমী" নামে একটি প্রতিষ্ঠান মাথিউরা ঈদগাহ বাজারে অস্থায়ী স্থানে স্থাপন করা হয় এবং শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষাদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকে। বিয়ানীবাজার জিলালুল কোরআন সোসাইটির উদ্যোগে উভয় প্রতিষ্ঠানকে একিভূত করে সমগ্র বিয়ানীবাজারের সমন্বয়ে ২০০২ সালে "বিয়ানীবাজার জামেয়া ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়" নামে একটি কেন্দ্রিয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সিদ্ধান্তের আলোকে বিয়ানীবাজার "আল-ফালাহ একাডেমী"র নাম পরিবর্তন করে ২০০৩ সালের জানুয়ারী মাস থেকে ঐ অস্থায়ী স্থানে শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত "বিয়ানীবাজার জামেয়া ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়" নামে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। অতঃপর সিদ্ধান্ত হয় যে মাথিউরা শাহজালাল একাডেমী শিশু থেকে ২য় শ্রেণি পর্যন্ত যথাস্থানে থাকবে এবং স্বনামে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। আর তৃতীয় থেকে পঞ্চম পর্যন্ত জামেয়া ইসলামিয়াতে একিভূত হয়ে যাবে।
নিজস্ব ভূমিতে স্থানান্তর: বিয়ানীবাজার জামেয়া ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ১লা জানুয়ারি ২০০৫ ইং সালে লাসাইতলাস্থ পৌর সীমা-সংলগ্ন মাথিউরা রোডে (বর্তমান ৫২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সংলগ্ন) স্থানান্তর করা হয়।
শ্রেণি: ১লা জানুয়ারি ২০০৫ সালে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে শুধুমাত্র বালকদের ভর্তি শুরু হয়।
বালিকা শাখা: ১ লা জানুয়ারি ২০০৯ সালে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ১৬ জন ছাত্রী নিয়ে বালিকা শাখা শুরু হয়।
অষ্টম শ্রেণি: ২০১১ সালে বালিকা শাখা থেকে প্রথম ৮ম শ্রেণি পরীক্ষা দেওয়া শুরু হয়।
এস.এস.সি: ২০১০ সাল ছাত্রদের প্রথম এস.এস.সি ব্যাচ। ২০১৪ সাল ছাত্রীদের প্রথম এস.এস.সি ব্যাচ। ২০১৯ সাল পর্যন্ত মোট ১০টি ব্যাচ এস.এস.সি তে অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করে।
বর্তমান অবস্থান ও পরিসংখ্যানঃ ভূমি: ১একর ২৮ ডেসিমাল, ভবন সংখ্যা: ৪টি (দু'তলা ভবন ০১টি, এক তলা ভবন ০১টি, আধা পাকা ভবন ০২টি), কক্ষ সংখ্যা: ২৬টি, দ্বিতল বিশিষ্ট ১টি মসজিদ, ১টি খেলার মাঠ, ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা: মোট ৪৫৩ জন, ছাত্র: ৩০৬ জন, ছাত্রী: ১৪৭ জন, শিক্ষক: ২০ জন, শিক্ষিকা: ০৬ জন,অফিস সহকারী: ০১ জন, কর্মচারী: ০৩ জন (পুরুষ ০২ জন, মহিলা ০১ জন)
সূত্রঃ জামেয়া স্বারক "প্রসূন " থেকে নেয়া।