সৎ , দক্ষ ও যোগ্য সুনাগরিক তৈরীর লক্ষ্যে ১৯৮৮ সালের ৩ জানুয়ারী বিয়ানীবাজারের নিউ মার্কেটের ভাড়া করা ভবনের ২ য় তলায় প্রতিষ্ঠিত হয় আল ফালাহ একাডেমী যা পরবর্তীতে ২০০৩ সালে ১ জানুয়ারী নাম পরিবর্তিত হয়ে নতুন নাম হয় বিয়ানীবাজার জামেয়া ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় । বিয়ানীবাজার জামেয়া ২০০৫ সালে ১ জানুয়ারী নিজস্ব ভূমিতে স্থানান্তরিত হয়ে আজ পর্যন্ত অত্যন্ত সুনামের সাথে শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে । সময়ের পথ পরিক্রমায় ৩০ বৎসর অতিক্রম করে জামেয়া আজ বিস্তৃত ও সুপ্রতিষ্ঠিত । উদ্যোক্তাদের মহৎ উদ্দেশ্য , সুধী - শুভাকাঙ্খীদের নিঃস্বার্থ অনুদান , বিভিন্ন সময়ের পরিচালনা কমিটির দক্ষ পরিচালনা ও শিক্ষকদের আন্তরিক প্রচেষ্ঠার মাধ্যমে বহু প্রতিকূলতা অতিক্রম করে বিয়ানীবাজার জামেয়া সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে । ৩৭ জন শিক্ষার্থীদের নিয়ে যে প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু আজ শত শত শিক্ষার্থীদের পদচারনায় মুখরিত । সরকারী কোন অনুদান ছাড়াই বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থার অনুদানে জমি ক্রয় করে একাধিক ভবন নির্মিত হয়েছে । বিয়ানীবাজার জামেয়া একটি সমন্বিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । এখানে রয়েছে বালক ও বালিকা পৃথক শাখা । উভয় শাখায় শিক্ষার্থীদের নিবীড় তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে পাঠদানের পাশাপাশি সহপাঠ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ সাধিত হচ্ছে । বিয়ানীবাজার জামেয়া ‘৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলন মেলা ও এ উপলক্ষ্যে প্রকাশিত স্মরণিকা ‘ প্রসূন ’ আমাদের জন্য সত্যিই আনন্দের । ‘৩০ বছর পূর্তি ’উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকা ‘প্রসূন’-এ জাতীয় ও স্থানীয় কবি -সাহিত্যিক এবং শিক্ষক - শিক্ষার্থীদের লেখার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের সন্নিবেশ ঘটেছে । যা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে । পরিশেষে সকলের সু -পরামর্শ ও আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় জ্ঞান - বিজ্ঞানের এই যুগে বিয়ানীবাজার জামেয়া কাঙ্খিত মান বজায় রেখে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দেশ ও জাতির প্রত্যাশা পূরণে সচেষ্ট থাকবে । ‘৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকা প্রকাশের সাথে জড়িত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং ‘৩০ বছর পূর্তি উৎসব ও প্রকাশনা সফল হোক সে আশাবাদ ব্যক্ত করছি । এ প্রতিষ্ঠান এগিয়ে যাক স্বগৌরবে মহান মাবুদের নিকট এই বিনম্ৰ প্ৰাৰ্থনা।